পুরুলিয়ার বিজেপির পাশাপাশি এবার কুচবিহার নিয়ে চাপ বাড়াতে শুরু করল বামফ্রন্ট রাজ্য June 5, 2018 সন্ত্রাসের স্বেচ্ছাচারের কোপে বলি হয়েছে অজস্র সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েত ভোট পর্বে। তবে সন্ত্রাস এখনো দমেনি। চালিয়ে যাচ্ছে তাঁর হত্যালীলা। খবরের শিরোনামে কখনো এসেছে বীরভূম কখনো পুরুলিয়া কখনো আবার কোচবিহার। সম্প্রতি পুরুলিয়ার বলরামপুরে তিন দিনে দুটি বিজেপি কর্মীদের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় দিনের ঝুলন্তদেহকে পুলিশি তদন্ত “আত্মহত্যা” র খেতাব দিয়ে দিয়েছে। এদিন কোচবিহার হামলায় প্রাণ গেলো এক বামফ্রন্টের কর্মীর। অভিযোগের কাঁটা সবসময় স্থির হয়েছে শাসকদলের উপর। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এসব ঘটনার জেরে অভিযোগের সুর চড়া করে বামেদের তরফের নেতৃত্বরা বলেছেন যে নির্বাচনের আগের রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনাী কাকদ্বীপে তাঁদের দলীয় কর্মী এক দম্পতির পুড়িয়ে মারার ঘটনাকেও পুরুলিয়া মতো ‘শর্ট সার্কিট’ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছিল পুলিশ। এ প্রেক্ষিতে মতামত পাওয়া গেছে, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিরও। বিষ্ফোরক মন্তব্যে সরব হয়ে তিনি বলেন যে ২০১১ সাল থেকেই নাকি বঙ্গের বামেদের টার্গেট করে আছে জোড়াফুল দল। কোচবিহারের খুনের ঘটনা ফের একবার সাফ জানান দিলো যে বাংলায় গণতন্ত্র আজ প্রহসনে পরিনত হয়েছে। তবে তিনি এটাও জানালেন যে এই গণতন্ত্রকেই আবার ফিরে পেতে বামফ্রন্ট আমরণ সংগ্রাম করে যাবে। প্রসঙ্গত, জানা গেছে যে কোচবিহার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আগামী শনিবার কোচবিহারের জামালপুরে হাজির হবেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। দিকে দিকে বিরোধীরা যেভাবে প্রতিবাদে সরব হচ্ছে শাসকদলের বিরুদ্ধে তাতে করে চাপ সৃষ্টি হতে পারে ঘাসশিবির, এমনটাই আশঙ্কা করছে রাজ্য রাজনীতিমহল। আপনার মতামত জানান -