এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল-সব্যসাচী ‘লুচি-আলুর দম’ পর্বে নয়া মোড়, প্রকাশ্যে বড় ঘোষণা সব্যসাচী দত্তের

মুকুল-সব্যসাচী ‘লুচি-আলুর দম’ পর্বে নয়া মোড়, প্রকাশ্যে বড় ঘোষণা সব্যসাচী দত্তের


গত দুদিন ধরে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে হঠাৎ করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আগমন ও সেখানে একান্তে ঘন্টা দেড়েক বৈঠক করা নিয়ে। এই বৈঠকের শেষে সব্যসাচীবাবুর বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে মুকুলবাবু বলেন, সব্যসাচীবাবু তাঁর ভাইয়ের মত, তাঁর স্ত্রীকেও তিনি বোনের মত স্নেহ করেন। তাঁদের পারিবারিক বন্ধুত্ব আছে, তাই তিনি সব্যসাচীবাবুর বাড়িতে লুচি, আলুর দম ও মিষ্টি খেতে এসেছিলেন। যখনই তাঁর ক্ষিদে পায় – তিনি সেখানে যান, দশ দিন আগেও গিয়েছিলেন, দুমাস আগেও গিয়েছিলেন।

এরপরেই অত্যন্ত জোরের সঙ্গে মুকুলবাবু জানান, তাঁদের মধ্যে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক বা ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে আলোচনা ও গল্প হয়েছে। কিন্তু, রাজনীতি নিয়ে কোনো কথাই হয় নি। মুকুলবাবুর এহেন যুক্তির পরেও অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি – সংবাদমাধ্যমে লাগাতার জল্পনা চলতে থাকে যে, সব্যসাচীবাবুকে বিজেপি বারাসত থেকে লোকসভা প্রার্থী করতে চায় – আর সেই বার্তা নিয়েই মুকুল রায় তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। এই জল্পনা আরও গতি পায়, যখন গতকাল তৃণমূলের জেলার কোর কমিটির বৈঠকে তাঁকে খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমন্ত্রণ করলেও তিনি ‘শারীরিক অসুস্থতার’ কারণে অনুপস্থিত থাকেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরেই, রাতের দিকে দুটি বড় খবর নিয়ে জল্পনা ছড়ায় – প্রথমত, শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন ঘোষিতভাবে মুকুল রায়কে ‘গদ্দার’ বলছে – তখন তাঁর সঙ্গে এই ধরনের ‘লুচি-আলুর দমের’ সৌহার্দ্য কেন? আর এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে দল নাকি বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এদিকে দলবদলের খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হতেই রাতেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বলে খ্যাত সুজিত বসুর গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর গোষ্ঠীর তুমুল লড়াই শুরু হয়ে যায়, যার জেরে চলে গুলি, পরে বোমা। আহত হন দুপক্ষের মোট ৫ জন। এই অবস্থায় আজ বিকেল ৩ টেয় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে দলের তরফে এক বৈঠক ডাকা হয় – সেই বৈঠকের পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগর বিধায়ক সুজিত বসুকে পাশে নিয়ে সব্যসাচীবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন – দলে ছিলাম, দলে আছি, দলে থাকব।

এরপরেই তিনি জানান, তাঁর কাছে কার্যত মুকুলবাবুর ফোন নাম্বারও ছিল না। যেহেতু তিনি সবার ফোন ধরেন, তাই অচেনা নাম্বার দেখেও ফোন ধরে বুঝতে পারেন মুকুলবাবু ফোন করেছেন এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। সব্যসাচীবাবুর যুক্তি, স্বাভাবিকভাবেই পূর্ব পরিচিতির সুবাদে ও সৌজন্যতা এবং ভদ্রতার খাতিরে তিনি মুকুল রায়কে আসতে না বলেননি। মুকুলবাবু তাঁর বাড়িতে এসে তাঁর স্ত্রীর কাছে লুচি-আলুরদম খেতে চান। সেই ফাঁকে টিভিতে চলা ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে তাদেঁর মধ্যে গল্পগুজব হয়। এরপর খাওয়া শেষে মুকুল রায়কে এগিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন সব্যসাচী দত্ত। মিডিয়াকে ডাকা তো দূরের কথা, তিনি জানতেনও না বাড়ির বাইরে মিডিয়া অপেক্ষা করছে। এরপরেই অত্যন্ত জোরের সঙ্গে তিনি জানান, কেউ যদি বলতে পারেন আমি ডেকেছি, তাহলে যা শাস্তি দেবে দল, আমি মাথা পেতে নেব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!