এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পে কমিশনের বেতন বৃদ্ধিতেও এখনও মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা অটুট তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের

পে কমিশনের বেতন বৃদ্ধিতেও এখনও মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা অটুট তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনের


পে-কমিশন রয়েছে, তাও মুখ্যমন্ত্রীর উপর থেকে ভরসা হারাচ্ছন না তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো তৈরি করতে গত 2015 সালের 26 শে নভেম্বর অর্থনীতিবীদ অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে একটি বেতন কমিশন তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এরপরই সেখানে আবেদন জানায়, চারশোরও বেশি কর্মচারী সংগঠন। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে এই পে কমিশনের কাছে তাদের আবেদন দাখিল করেন। যার মধ্যে সিংহভাগই রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। কেননা রাজ্যের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন থাকলেও পুলিশদের সেভাবে কোনো সংগঠন নেই।

ফলে তারা তাদের নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে পারেন না। কিন্তু সংগঠনের বক্তব্য শোনা হলেও ব্যক্তিগতভাবে কারো বক্তব্য শোনা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল এই পে কমিশন। সূত্রের খবর, বর্তমানে যেসব সংগঠনের অভাব অভিযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে মোটে অর্ধেক সংগঠনের বক্তব্য শুনতে পেরেছে কমিশন।

আর তাই এই কাজ সম্পূর্ণ করতে এবং সকল সংগঠনের বক্তব্য শুনতে বুধবার সেই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ আরও 6 মাস বৃদ্ধি করল রাজ্যের অর্থ দপ্তর। জানা গেছে নিয়মানুযায়ী কমিশনের মেয়াদ ছিল চলতি মাসের 26 তারিখ পর্যন্ত।

কিন্তু অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে ফের 6 মাস বাড়ানোয় আগামী মে মাসে শেষ হচ্ছে এর মেয়াদ‌। এদিকে সরকারের তরফে এই পে কমিশন নিয়ে নতুন নির্দেশে নিজেদের আশায় কার্যত জল ঢেলে দেন অনেক সরকারি কর্মচারীরাই।

কারও মনে ক্ষোভ তো কারও মানে তীব্র হতাশার সৃষ্টি হয়। আর যা নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে প্রবল তোপ দেগেছে বিরোধী দল থেকে বিরোধী সংগঠনগুলি। এদিন এ প্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তিন বছর পার হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পে কমিশন তার রিপোর্ট দিতে পারল না। এর থেকে বড় অপদার্থতা আর কি হতে পারে!”

পাশাপাশি এহেন ঢিলেমির জন্য পে কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অভিরূপ সরকারের অপসারণের দাবি তোলার সাথে সাথে সরকারের খেলা, মেলা, উৎসবেরও প্রবল সমালোচনা করেছেন তিনি। এদিন এ প্রসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজয়শংকর সিং বলেন, “রাজ্য সরকার বঞ্চনার শেষ সীমান্তে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সারা রাজ্যে সব অফিসে টিফিনের সময় ভিক্ষা চাওয়া হবে।”

অন্যদিকে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি সমর্থিত কর্মচারী পরিষদও। এদিন এই সংগঠনের আহবায়ক দেবাশীষ শীল বলেন, “কর্মচারীদের কপালে সংশোধিত বেতন কাঠামো লোকসভার ভোটের আগে আর জুটলোনা। আমাদের একমাত্র বঞ্চিত রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ। এর বিরুদ্ধে সকলের আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত।”

তবে পে কমিশনের মেয়াদ বাড়লেও এবং বিরোধীরা সরকারের প্রতি তোপ দাগলেও এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই ভরসা রাখছেন তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশন এর নেতা সৌম্য বিশ্বাস। তিনি বলেন, “কর্মচারীদের হতাশা ও ক্ষোভ থাকতেই পারে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে আমাদের বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে সকলের মুখে হাসি ফুটবে।” সব মিলিয়ে পে কমিশনের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে যখন বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ছে সরকার, ঠিক তখনই সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে শাসকদলের কর্মচারী সংগঠন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!