‘আমরা সরকারি কর্মচারীদের সন্তান, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জন্য খেতে পাই না’! – গর্জে উঠল কলকাতার রাজপথ কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য December 30, 2018 সমকাজে সমবেতনের দাবিতে গর্জে উঠলো কলকাতার রাজপথ। সুদীর্ঘ যন্ত্রনা বুকে নিয়ে সর্বশিক্ষা মিশনের অধীন হাজার হাজার শিক্ষাবন্ধু ও তাঁদের পরিবার-পরিজন সুসজ্জিত মিছিলের মধ্যে দিয়ে আকাশ বাতাস মথিত করে প্রতিবাদ আছড়ে পড়লো রাজপথে। নতুন ও অভিনব মিছিল দেখলো কলকাতা। গতকাল শিয়ালদহ থেকে দুপুর একটায় শুরু হয় শিক্ষাবন্ধুদের (সরকারি কর্মচারীদের) “ভুখা মিছিল”। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন তাঁদের সন্তান-সন্ততি। প্রত্যেকের বুকে ঝুলছিল একটি করে প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডে লেখা “আমরা সরকারি কর্মচারীদের সন্তান, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জন্য খেতে পাই না”! কেন এমন লেখা? আর কেনই বা তাঁরা ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মিছিলে সামিল হয়েছেন? সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা নন্দদুলাল দাস জানালেন, দীর্ঘ আটবছর তাদের কোনো বেতনবৃদ্ধি ঘটেনি! তিনি আরও জানালেন, একজন পোষ্ট গ্ৰাজুয়েট কর্মচারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বাধীন রাজ্য সরকার বেতন দেন মাত্র ৫,২৪০ টাকা। তাই, একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে মিছিলে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের সমস্ত মানুষকে তাঁরা তাঁদের যন্ত্রনার কথা জানাতে চান। মিছিল ধর্মতলার দিকে যত এগিয়েছে, রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ভিড় ততই বেড়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁর আরও দাবি, রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সমস্ত মানুষ নিন্দায় মুখর হয়েছেন – যখন জেনেছেন পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট কর্মচারীদের রাজ্য সরকার বেতন দেয় এই ৫,২৪০ টাকা! দীর্ঘ আট বছরে মুখ্যমন্ত্রী নয় নয় করে, আটশো বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং অবশেষে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বাধীন রাজ্য সরকারের প্রতি আর বিন্দুমাত্র আস্থা তাঁদের নেই। নন্দদুলালবাবুর আরও দাবি, মিছিল শেষে তাঁরা রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আসলে ‘ষড়যন্ত্রের’ জাল বুনেছেন। কারণ, জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। আর তখন তিনি জানাবেন – ‘আমি তো তৈরি ছিলাম, কিন্তু ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি’! আর, আগের মতোই তিনি আবারো নির্বাচনের পর এই ব্যাপারে দেখবেন বলে জানাবেন ও পরে ভুলে যাবেন! **এই প্রবন্ধে প্রকাশিত মতামত শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চের অন্যতম শীর্ষনেতা নন্দদুলাল দাসের – কোনোমতেই, প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নিজস্ব নয়। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে নন্দদুলালবাবুর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -