জমজমাট দমদম – রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন সৌগত-শমীক- নেপালদেব কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য March 25, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, বিরোধী দল বিজেপি এবং বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গেছে। আর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর রাজ্যের অনেক লোকসভা কেন্দ্রই তারকা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে। আর এই দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে রাজ্যের দমদম লোকসভা কেন্দ্র। এখানে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন গতবারের বিদায়ী সংসদ সৌগত রায়। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার 48 ঘন্টা যেতে না যেতেই কালীঘাটের বাসভবন থেকে রাজ্যের 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যেখানে এই দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সৌগত রায়ের নাম ঘোষণা করেন তিনি। এদিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই নিজের মতো করে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করতে শুরু করে দেন সৌগতবাবু। আর ভোটের বাজারে রবিবার ছুটির দিনকে কাজে লাগিয়ে গোটা দমদম লোকসভা কেন্দ্র চষে বেরিয়ে কোথাও কর্মীসভা আবার কোথাও বা জনসংযোগে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল এই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। সূত্রের খবর, রবিবার চারটি রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে পানিহাটি, বিরাটি এবং কৈখালীতে জনসংযোগ সেরে একটি কর্মীসভায় অংশ নেন তিনি। আর এরপরই একটি ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করতেও দেখা যায় সৌগত রায়কে। তবে রবিবার ছুটির দিনকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বাজারকে উত্তপ্ত করতে যখন জনসংযোগে ব্যস্ত দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়, ঠিক তখনই এখানে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন সকাল সকাল এখানকার বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য বন্ধ হয়ে যাওয়া জেসপ কারখানার শ্রমিক এবং গোরাবাজারে পুড়ে যাওয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত দমদম লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে প্রবল জনসংযোগে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে টোটোচালক ও মোটর বাইক চালকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যেন তারা বিজেপিকেই ভোট দেয়, তার জন্য আবেদন করেন এই দমদম লোকসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। আর এরপরই রাজ্যের বিগত বাম সরকার এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে শমীকবাবু বলেন, “বর্তমানে নব্য তৃণমূলীরা পুরোনো তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করছেন। এতদিন বামপন্থীরা যে সমস্ত শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিটিং মিছিলে নিয়ে যেতেন, সেই সমস্ত শ্রমিকদের দাবি পূরণ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাই কেন্দ্রে স্থায়ী সরকারের লক্ষ্যে সকলকেই পদ্মফুল প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজেপিকে জয়যুক্ত করতে হবে।” এদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে লড়াই হবে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করলেও এখনও পর্যন্ত ময়দান ছাড়তে নারাজ প্রার্থীরা। এদিন রবিবাসরীয় ছুটিকে কাজে লাগিয়ে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে জনসংযোগ করতে দেখা যায় সিপিএমের প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্যকেও। জানা যায়, এদিন বেলঘড়িয়া স্টেশন চত্বর থেকে ফিডার রোড ধরে রথতলা হয়ে নীলগঞ্জ রোড হয়ে বিটি রোড দিয়ে নরেন্দ্রনগর পর্যন্ত একটি প্রচার মিছিল করে বামেরা। যেখানে বাম প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্যর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউয়ের রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাউ, সিআইটিইউয়ের রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মানস মুখার্জি, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি সায়নদ্বীপ মিত্র সহ অন্যান্যরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মূল লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপির হলেও দু’পক্ষেরই ভোট কাটাকাটিতে বেশ কিছু আসন বামেদের দখলে আসতে পারে – এই আশা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর প্রচারে নেমে পড়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আর তাইতো রবিবাসরীয় ছুটিকে কাজে লাগিয়ে যখন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় এবং হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য জোর প্রচারে ব্যস্ত, ঠিক তখনই জনসংযোগের মধ্যে এই ছুটিকে কাজে লাগালেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্য। তবে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের প্রার্থীরা জোর প্রচার করলেও শেষ পর্যন্ত এই লোকসভা কেন্দ্র কার দখলে থাকে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -