এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শোভন বিদায়ের ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ছিল বিগত কয়েকদিনেই, গা-ছাড়া ভাব ছিল স্বয়ং তাঁরই!

শোভন বিদায়ের ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ছিল বিগত কয়েকদিনেই, গা-ছাড়া ভাব ছিল স্বয়ং তাঁরই!


এদিন বিধানসভায় অধিবেশনের পরই মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর একদা আস্থাভাজন তথা প্রিয় কাননকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পারিবারিক সমস্যার জেরে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ছাড়ার পরই ভাই কাননের উপর প্রবল অসন্তুষ্ট হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ঘনিষ্ঠ মহলে প্রিয় কাননের দুর্গতি সম্পর্কে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃনমূল সুপ্রিমো।

গতকাল বিধানসভার এক অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গীতাঞ্জলি প্রকল্পে রাজ্যের 25 লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছে।” আর এরপরই ভাই কানন ঠিকমতো পড়াশোনা না করার জন্য নিজের আসন থেকেই চেঁচিয়ে ওঠেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শোনা যায়, দিদির ধমকে বিধানসভার অধিবেশনে কেঁদে ফেলেন কানন। আর এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “25 নয়, সংখ্যাটা 40 লক্ষ্য হবে।”

আর এরপরই বিধানসভা থেকে বেরোনো মাত্রই মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। অনেকেই মনে করছেন, একদিনে শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেননি, গত বেশ কয়েকদিন ধরে কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসেবে অধিবেশন চলাকালীন নীরবতাই পালন করেছিলেন’ শোভন বাবু।

এমনকি গতকালও অধিবেশন চলাকালীন বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পুরসভা থেকে বেরিয়ে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর এরপরই বিধানসভায় যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার পরই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় তাকে। কিন্তু যে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি এতটা অসন্তুষ্ট ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই একদা শোভনের সহধর্মিনী রত্না চট্টোপাধ্যায় ঠিক কী বলছেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে রত্নাদেবী বলেন, “ও দিদির কথাই শোনেনি। আমার কাছে তো দূর অস্ত, সন্তানদের কাছেও ফিরে আসেনি। এত মোহের জন্যই ওকে আজ হারতে হলো।” অন্যদিকে জামাইয়ের এই অবস্থা দেখে তার বিরুদ্ধে মহেশতলা তৃণমূল বিধায়ক দুলাল দাসও প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন তিনি বলেন, “শোভনের এই অবস্থা দেখে আমার খুব দুঃখও হচ্ছে না, আবার আনন্দও হচ্ছে না। বর্তমানে যাকে বন্ধু বলে সঙ্গে নিয়ে ঘুরত সেই ব্যক্তি এখন কোথায় গেল? আমি চাই ওর চেতনা হোক।” এদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই পদত্যাগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলের তরফ থেকেও এসেছে নানা বিবৃতি।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন,”অনেকদিন শোভনকে নিয়ে নানা রকম মুখরোচক খবর আমার কাছে আসছিল। কিন্তু এমন কি হলো যার কারণে ইস্তফা দিতে হলো তাকে। শাসকদলের প্রত্যেক বিধায়কের উচিত এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সঠিক বক্তব্য জানা।”

অন্যদিকে এই শোভন কান্ড প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন পাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও। এদিন তিনি বলেন, “নারদ কান্ডৈ অভিযুক্ত স্নেহের কাননকে মুখ্যমন্ত্রী মাথায় তুলেছিলেন। কেন তাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হলো তা বাংলার মানুষকে জানানো উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “শোভন মন্ত্রিত্ব ছাড়ায় বাংলার মানুষ হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। ওর কাজে কোনো মন ছিল না।” তবে কেন সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হল সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি দাবিও জানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিতেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সব মহলেই শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!