21 তম দিনে পড়ল এসএসসিদের অনশন, সরকার “আন্তরিক নয়” বলেই কি এখনও অধরা সমাধানসূত্র? কলকাতা রাজ্য March 20, 2019 দীর্ঘদিন ধরেই এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা অনশন করছেন। আর সরকারের পক্ষ থেকে সেই অনশন তোলার জন্য বহুবার চেষ্টা চালালেও তা কার্যত ব্যর্থ হতেই দেখা গেছে। অবশেষে সেই এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন কুড়ি দিনের মাথায় পড়লেও সরকারের তরফে তেমন কোনো ইতিবাচক আশ্বাস দেওয়ার ঘটনা না মিললে সরকারের সেই পদক্ষেপ নিয়েই এখন উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মঙ্গলবার এই অনশনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসলেও এই ব্যাপারে কোনো সমাধান সূত্র বেরোয়নি বলেই জানা গেছে। কিন্তু যেখানে প্রায় 21 দিনের মাথায় পড়ল এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের এই অনশন! সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাতেও কেন সরকারের পক্ষ থেকে সেই চাকরিপ্রার্থীদের অনশন তোলার জন্য কোনোরূপ সদর্থক উদ্যোগ নিতে দেখা গেল না! তাহলে কি এইখানে সরকারের তরফে কোনও খামতি রয়েছে? এদিন এই ব্যাপারে বিজেপি প্রভাবিত ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, “অনশনকারীদের দুর্দশা দেখে মনে হয়েছিল এটা বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা বহু দিন অনশন করেছি। তাদের কষ্টটা বুঝি। সরকার যদি ইতিবাচক আশ্বাস দিত তাহলে হয়ত এই অনশন উঠিয়ে নেওয়া যেত।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের এই অনশন যখন 21 দিনে পড়ল, ঠিক তখন এদিনই গ্রাজুয়েট টিচারদের একটি সংগঠন বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন টিজিটি স্কেল এবং ক্যাশ বেনিফিটের দাবিতে করুণাময়ী মোড় থেকে ময়ুখ ভবন পর্যন্ত একটি মিছিল করে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমীর আইচ, শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার সহ অন্যান্যরা। এদিন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, “সরকার প্রশ্ন পিছু যে টাকা দেয় সেটা অপর্যাপ্ত। তাই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি কয়েকটি স্কুল নিয়ে একটি ক্লাস্টার তৈরি করা হোক। তাতে প্রশ্নের মান ভালো হবে আবার খরচ কিছুটা কমবে।” অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল এবং রামলীলা পার্কে একটি গন কনভেনশন করে পাশ ফে প্রথা চালু সহ কয়েকদফা দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শিক্ষা কর্মীরা কখন আবার কখনো শিক্ষকদের প্রতিবাদেই রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থা যে সত্যিই বিপর্যস্ত তা ফের একবার প্রমান হল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। আপনার মতামত জানান -