এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আদালতকে ‘কথা’ দিয়েও সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের, বাজেয়াপ্ত হবে মোটা টাকা

আদালতকে ‘কথা’ দিয়েও সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের, বাজেয়াপ্ত হবে মোটা টাকা

তিন মাসেও শেষ করা যায়নি কাজ। আর এই কারনেই রাজ্যের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া 50 লক্ষ টাকা এবার বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনালের প্রধান বেঞ্চ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এনজিটিএর পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের সুন্দরবনের গদখালীতে একটি টুরিস্ট লজ তৈরি করা হলে যেহেতু এই লোকটি কোস্টাল রেগুলেটারি জোন-1 র মধ্যে পড়েছিল তাই 2015 সালে দীর্ঘ শুনানির পর এনজিটিএর পক্ষ থেকে সেটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আর তখনই এই ব্যাপারে রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই বাড়িটি না ভেঙে সেখানে সমুদ্র বা নদীর যে সমস্ত নোনা জল রয়েছে সেগুলো তুলে তা মিষ্টি জলে পরিবর্তন করার জন্য একটি প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। আর রাজ্যের পক্ষ থেকে এহেন কথা শুনেই আদালতও সাথে সাথেই এই ব্যাপারটিকে সমর্থন করে।

এদিকে আদালতে রাজ্য এক কথা বললেও বাস্তবে সেই প্রকল্প তৈরি করা নিয়ে তীব্র ঢিলেমি চোখে পড়ে। আর এতেই তীব্র অসন্তুষ্ট হয়ে গত 2018 সালের 18 সেপ্টেম্বর এনজিটির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়ে বলা হয় যে, তিন মাসের মধ্যেই সেই প্ল্যান্টটি তৈরি করতে হবে।

এমনকি পারফরমেন্স গ্যারান্টি হিসেবে 50 লক্ষ টাকা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। আর ঘটনার পরই এদিন আদালতে এই ব্যাপারে শুনানি চলার সময় রাজ্যের আইনজীবী জানান যে, সেখানে তিন চতুর্থাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে। আর তাই বাকি কাজ শেষের জন্য রাজ্যকে কিছুটা সময় দেওয়া হোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে রাজ্যের আইনজীবীর এহেন আবেদনের বিরোধিতা করে মামলাকারীর আইনজীবী সুভাষ দত্ত বলেন, “ইতিমধ্যেই এঈ মামলায় বহু বছর হয়ে গিয়েছে। তাই আর সময় দেওয়া উচিত নয়।” সূত্রের খবর, দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত নির্দেশ দেয় যে, পূর্ববর্তী জমা দেওয়া 50 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

এমনকি সেই টাকা পরিবেশ উন্নয়নের খাতে খরচ করা হবে বলেও জানিয়ে দেন বিচারক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জায়গায় এই প্রকল্পটি তৈরি করা সম্ভব কি না তা নিয়েও এদিন আদালতের পক্ষ থেকে একটি ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!