এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যকে বিরোধীশূন্য করতে ‘দায়িত্ব’ নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, দল রাখতেই হিমশিম অবস্থা বিরোধীদের-

রাজ্যকে বিরোধীশূন্য করতে ‘দায়িত্ব’ নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, দল রাখতেই হিমশিম অবস্থা বিরোধীদের-

একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় প্রশাসনিক সভা করে লোকসভা ভোটেকে টার্গেট করে জনসংযোগ তৈরির কাজে মেতে রয়েছেন,তেমনি দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরাও আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধী শূন্য বাংলা গঠনের ডাক দিচ্ছেন। আর এই কর্মসূচিতে প্রথমের সারিতে রয়েছেন তৃণমূল জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নবগ্রামের দু’বারের সিপিএম বিধায়ক কানাই মন্ডল শুভেন্দু বাবুর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েই মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধী শূন্য বাংলা গঠনের ডাক দিলেন তিনি। বললেন,’এই জেলার মাটিতে তৃণমূল ছাড়া আর কেউ থাকবে না। কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপিকে আরও ভাঙব।’

প্রকাশ্য জনসভায় মন্ত্রীর এরকম হুঁসিয়ারীতে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছেন বিরোধীমহল তাদের নিচুতলার কর্মীদের নিয়ে। কে কখন দলত্যাগ করে শাসকদলে ভিড়ে যাবেন সেই চিন্তাতেই রাতের ঘুম উড়ছে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপির। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৬ তারিখ রানিনগরে বিগ্রেড অভিযানের প্রস্তুতি সভায় আরো কয়েকজন কংগ্রেস,সিপিএম এবং বিজেপি হেভিওয়েট নেতারা তৃণমূলে যোগ দেবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু।

কাজেই মন্ত্রীর কথা নিয়েই বিশেষ করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিরোধীদের নীচুতলার একাংশের মধ্যে। আগামীতে তাঁদের অবস্থান নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।বিরোধীদের নীচুতলার নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবী, কংগ্রেসের একের এক বিধায়কদের দলে টনছেন শুভেন্দু বাবু। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং বিভিন্ন পুরসভা বিরোধীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন দফায় দফায়।

ফলত লোকসভা ভোটের আগে জেলায় বিরোধীদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলবে এমনটাই আশঙ্কা প্রতিপক্ষমহলের। এমন অবস্থায় বিরোধীশিবির নিজেদের সংগঠনকে রক্ষা করতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে। এলাকায় মিটিং,মিছিল,জনসভা করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের চাঙ্গা করার পাশাপাশি জনসংযোগ তৈরি করার কাজে বেশি করে মন দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস তৃণমূল নেতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বললেন,’ধার করে নিজের দলকে সমৃদ্ধ করছেন শুভেন্দুবাবু। তিনি যদি এতই পালোয়ান হন, তা হলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটে লড়াই করে জিতে দেখান।’ অন্যদিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, দলত্যাগী সদস্যদের সঙ্গে কোনো ভোটার তৃণমূলে যায়নি। কংগ্রেস নেতার সুরে তিনিও তৃণমূলকে হুমকি দিয়ে বলেন,ক্ষমতা থাকলে শাসক দল যেন জেলার মাটিতে জিতে দেখায়।

বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শাখারভ সরকারের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর হুমকিতে বিজেপি ভয় পায় না। সশস্ত্র উন্নয়ন বাহিনীকে দাঁড় করিয়ে, বোমাবাজি করে সন্ত্রাস চালিয়ে জেলায় পঞ্চায়েত ভোট করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে সঠিকভাবে বোঝা যাবে কার ক্ষমতা কতো! এমনভাবে শুভেন্দু বাবুকে হুঁসিয়ারী দিলেন তিনি। তিন বিরোধী নেতারই বক্তব্য একই। শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে,ভয় দেখিয়ে কাউন্সিলর, বিধায়কদের দলে টেনেছেন এটা জেলাবাসীর জানা,সুতরাং লোকসভা ভোটে তৃণমূল বেশি সুবিধা করতে পারবে না। এমনটাই বিশ্বাস বিরোধীদের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে দলীয় পর্যবেক্ষকের নির্দেশে বিগ্রেড অভিযানের জন্য প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। সঙ্গে বিরোধীদের দলে টানার কাজটিও সমানতালো চলছে। শীঘ্রই বহু বিরোধী নেতা-কর্মীরাই তৃনমূলে যোগ দেবেন এমনটাই জানালেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশোক দাস। তবে আপাতত বিগ্রেড অভিযানের প্রচার কর্মসূচিকেই ফোকাসে রাখা হয়েছে বলে জানালেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!