এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গেরুয়া সমর্থকদের আশা বাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করতে মুকুল রায় এবার নিলেন চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ

গেরুয়া সমর্থকদের আশা বাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করতে মুকুল রায় এবার নিলেন চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ


ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একজন বাঙালি হলেও বাংলার রুক্ষ জমিতে সেভাবে কোনোদিনই পদ্ম ফোটে নি। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ভোটকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সময়ে কিছু জনপ্রতিনিধি পেলেও – নিজেদের সংগঠনের জোরে বাংলার রাজনৈতিক পটভূমি পাল্টে দেওয়ার মত জায়গায় কোনোদিনই ছিল না বিজেপি। কিন্তু হাওয়াটা বদলাতে থাকে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে। দেশজোড়া মোদী হাওয়ায় ভর করে বাংলা থেকে দু-দুটি আসন জিতে নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ভোট বাড়িয়ে নেয় অনেকটাই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও সকলের ধারণা ছিল – ২০১৪-এর বিজেপির ভোট বৃদ্ধিটা সম্পূর্ণই ‘ফ্লুক’ ছিল, ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনেই বিজেপি আবার নিজেদের ৩-৪% ভোটে ফিরে যাবে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোলে দেখা যায়, সর্বকালীন রেকর্ড করে ৩ জন বিধায়ক পাওয়ার পাশাপাশি বিজেপি নিজেদের ভোট ধরে রেখেছে ১০%-এ। আর এর পরেই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের আস্থার জায়গাটা কোথাও গিয়ে দখল করে নেয় বিজেপি। যা আরও জোরদার হয় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেবার পর। প্রতিটি নির্বাচনেই দেখা যায় বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসকে বহু পিছনে ফেলে দ্বিতীয়স্থানে দখল করছে বিজেপিই।

আর এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পালের হাওয়া মাথা ঘুরিয়ে দেয় অনেকেরই। বহু জেলাতেই, যেখানে এক সময় বিজেপির পতাকা ধরারও লোক ছিল না – সেখানে দেখা গেছে বিজেপি শুধু জেতেই নি, বোর্ড পর্যন্ত গঠন করে ফেলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মামাত বান্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ছিল – তিনি গ্রাম বাংলার সবথেকে বেশি উন্নয়ন করেছেন, বিশেষ করে জঙ্গলমহলের উন্নয়ন নিয়ে গর্বিত সকল তৃণমূল কংগ্রেসিই। অথচ দেখা যায়, সেই জঙ্গলমহলেই কার্যত ভরাডুবি হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। আর এরপর থেকেই কোথাও গিয়ে গেরুয়া সমর্থকরা ভাবতে শুরু করেছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলের রমরমা আটকে হাসি ফুটবে গেরুয়া শিবিরে।

আর এবার সেই গেরুয়া সমর্থকদের মনের আশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে মুকুল রায় কার্যত চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জটা নিয়েই ফেললেন। তিনি দাবি করেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা যদি ২০-এর নিচে নামিয়ে আনতে না পারেন তাহলে রাজনীতিই ছেড়ে দেবেন। মুকুলবাবুর যুক্তি, ব্রিগেডে মমতার সভায় আড়াই লক্ষের বেশি লোক হয়নি। তৃণমূল লোককে মিথ্যা কথা বলছে ২৫ লক্ষ লোক হয়েছে বলে। রাজ্যের সর্বত্র তৃণমূল অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করেছে। রাজনীতির পরীক্ষায় আমি কম বসিনি – আমি ২০০৮, ২০০৯, ২০১১ সাল দেখেছি। বাংলার মানুষের মধ্যে দিয়ে যে আওয়াজ উঠছে তা দেখে বলে যাচ্ছি, তৃণমূল লোকসভায় ২০ টির বেশি আসন পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!