রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই হয়ে গেল জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি- কিন্তু কিভাবে? জানুন বিস্তারিত উত্তরবঙ্গ রাজ্য October 10, 2018 বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কোচবিহার জেলা তৃনমূলের অন্দরে। সম্প্রতি শাসকদলের গোষ্টীসংঘর্ষের জেরে দিনহাটা কলেজের তৃনমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী নিতাই দাস নামে একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী এবং তৃনমূল কাউন্সিলর জয় ঘোষের বিরুদ্ধে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। আর এরপরই শাসকদলের কোচবিহার জেলার ছাত্রসংগঠনের সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরীকে সরিয়ে দেয় তৃনমূল কংগ্রেস। খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলে ভারসাম্য যারা রাখতে পারবে না, তাদের দলে থাকার কোনো অধিকার নেই।” আর এরপরই জেলায় গুঞ্জন তৈরি হয় যে,সাবির চৌধুরীর পর তাহলে কে হবেন কোচবিহার জেলার তৃনমূল ছাত্র পরিষদের পরবর্তী সভাপতি? বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা রাজ্য তৃনমূল ছাত্র পরিষদের শীর্ষনেতৃত্বের কাছেও। সেখানেই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “জেলা থেকেই নাম আসবে রাজ্যের কাছে। খোঁজ খবর নিয়ে, পুলিশি রেকর্ড দেখেই পরবর্তী সভাপতি পদে উপযুক্ত ব্যাক্তিকে বসানো হবে।” কিন্তু তৃনাঙ্কুর একথা বললেও আজ সকালে হঠাৎই কোচবিহার জেলার নতুন তৃনমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সাগর রায় বলে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন জেলা তৃনমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাহলে কি রাজ্যের নির্দেশেই বসল নতুন সভাপতি। কিন্তু যেই অভিযোগে সাবিরকে সরানো হল সেই একই অভিযোগ তো রয়েছে এই সাগর রায়ের বিরুদ্ধেও। কেননা, বেশ কিছুদিন আগেই এই কোচবিহারে মাজিদ আনসারি নামে এক ছাত্র খুনে নাম জড়ায় সাগর রায়। ফলে তৃনমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতৃত্ব সঠিক ব্যাক্তিকে পদে বসানোর কথা বললেও গলদ তো থেকেই গেল! এদিন এই প্রসঙ্গে তৃনমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের তরফে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জেলা থেকে পাঠানো নামের তালিকায় এই সাগরের নাম ছিল না।” অন্যদিকে সাগরের নাম শুনলেও তাঁকে সভাপতি করার ব্যাপারে কিছুই জানেন না রাজ্য তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি মনিশঙ্কর মন্ডলও। তাহলে তৃনমূল ছাত্র পরিষদ রাজ্য নেতৃত্ব কিছু না জানলেও কে সাগর রায়কে কোচবিহার জেলার তৃনমূল ছাত্র পরিষদের পরবর্তী সভাপতি করলেন? ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর কেনই বা তিনি এরুপ পোস্ট করলেন? এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে কোচবিহার জেলা তৃনমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই এইকথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।” এদিকে বেলা গড়াতেই রবীবাবুর এই ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়। আর এইখানেই অনেকে মনে করছেন যে, তাহলে কি দলের নির্দেশ ছাড়াই একতরফাভাবে নিজেই সাগর রায়কে সভাপতি করে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ? পরে শিক্ষামন্ত্রীর ধমকেই কি তিনি ডিলিট করলেন তাঁর ফেসবুক পোস্ট? জল্পনা তুঙ্গে। আপনার মতামত জানান -