বিজেপির রথযাত্রার আগে কলকাতার বুকে বড়সড় শক্তি প্রদর্শন তৃণমূল মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট মন্ত্রীর রাজ্য December 5, 2018 লোকসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন উত্তেজনার পারদ চড়ছে এই রাজ্যের শাসক বনাম বিরোধীর মধ্যে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী 7 ডিসেম্বর এই রাজ্যে “গণতন্ত্র বাঁচাও” নামক এক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে বিজেপি রথযাত্রা। যার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে পবিত্রযাত্রা করা হবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এরই মাঝে সেই গেরুয়া শিবিরকে আরও চাপে রাখতে তাদের রথযাত্রার কর্মসূচির ঠিক আগে গতকাল কলকাতার বুকে বড় জমায়েত করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সংগঠন জমিয়ত-ই-উলামায়ে হিন্দ। সূত্রের খবর, এদিন এই সংগঠনের কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল 11 টার পর থেকে ধর্মতলায় বিভিন্ন কর্মী সমর্থকরা আসতে শুরু করেন। পাশাপাশি শিয়ালদা, হাওড়া থেকেও মিছিল করে বহু মানুষ এসে জড়ো হন। আর এই কাজের দিনে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাবেশে প্রবল যানজটের শিকার হন সাধারণ মানুষ। স্কুল ছুটি হলেও বাড়ি ফিরতে গিয়ে কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা হয় ছোট্ট কচিকাঁচাদের। কোন রুট দিয়ে গেলে যানজটের সম্মুখীন হবে না, তা ঠিক করতে নাজেহাল হতে হয় ট্রাফিক কর্তাদেরও। তবে সন্ধ্যে নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু হঠাৎ এই ভাবে তারা সমাবেশ করলেন কেন? তাহলে কি বিজেপিকে চাপে রাখতে আগেভাগেই নিজেদের সমাবেশ করে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনেরই কৌশল নিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সংগঠন জমিয়ত-ই-উলামায়ে হিন্দ? এদিন এই সমাবেশ থেকে দেশের সম্প্রীতি রক্ষা করাই ন্যায় পরায়ণ মুসলিমদের প্রধান কর্তব্য সেই কথা বলে কোরানের কিছু অংশ উল্লেখ করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। অন্যদিকে রথযাত্রার কর্মসূচী নিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে এদিনের সভা থেকে তোপ দাগেন তিনি। এদিন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “বিজেপি ও সংঘ পরিবার রাজ্যে রথযাত্রার করছে। যে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন তাদের কর্মসূচি পালন করতেই পারে। কিন্তু অন্য সম্প্রদায়কে আক্রমণ বা অসম্মান করে উত্তেজনা তৈরীর চেষ্টা করা হলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ব্যাপারে বাংলার একটা ঐতিহ্য রয়েছে। তাতে যে বিষ ছড়ানো হচ্ছে তা শান্তিপ্রিয় মানুষ কিছুতেই মেনে নেবেন না।” তবে শুধু সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীই নয়, এ দিনের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সম্প্রীতির কথা শোনা যায় জমিয়ত-ই -উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মৌলানা মেহমুদ মাদানির গলাতেও। এদিকে এদিনের সমাবেশে প্রচুর জনসমাগম থেকে আগামী বছর ব্রিগেডে একটি জনসভা করার কথাও এদিন ঘোষণা করে দেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজনৈতিক মহলের মতে, এই আসলে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। সামনেই বিজেপি রথযাত্রা। আর সেই বিজেপি রথযাত্রাকে নিয়ে এখন দিকে দিকে গেরুয়া শিবিরকে প্রবল কটাক্ষ করছে রাজ্যের শাসকদলের নেতারা। আর তাই সেই শাসকদলের দাপুটে মন্ত্রী নিজের সংগঠনকে পথে নামিয়ে সেই বিজেপির রথ যাত্রার আগেই তাদের ব্যাপকভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন। আপনার মতামত জানান -