এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নেওয়া শুরু তৃণমূলের, হাওড়ায় বাম-বিজেপিতে বড় ভাঙন

ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নেওয়া শুরু তৃণমূলের, হাওড়ায় বাম-বিজেপিতে বড় ভাঙন

বর্তমানে হওড়ায় বামফ্রন্ট হোক বা কংগ্রেস কিংবা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নজির রাখা বিজেপি,কোনো রাজনৈতিকদলের ই সাংগঠনিক শক্তি মজবুত নেই। তাই প্রমাণ পাওয়া গেলো এদিন উলুবেড়িয়ায় অনুষ্ঠিত তৃণমূলের একটি জনসভায়। ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের প্রস্তুতি পর্ব হিসাবে উলুবেড়িয়ার রবীন্দ্রভবনে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এবং কর্মীরা মিলে একটি জনসভার আয়োজন করেছিলো। আর এই সভাতেই নজিরবিহীন ভাবে বিজেপি,সিপিএম এবং কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পঞ্চায়েত সদস্য,কাউন্সিলার সহ অন্যান্য বহু কর্মীরা। এছাড়া সিপিএম এবং কংগ্রেসের আরো কিছু কর্মীরা আগামী দিলে জোড়াফুল প্রতীক ঝান্ডা তুলে নেবেন বলে ইঙ্গিতও দিয়ে দিলেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত, হওড়ায় ১৫৪ টির মধ্যে ১৪৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আগেই করায়ত্ত হয়েছে তৃণমূল শিবিরের। ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত তো ত্রিশঙ্কু অবস্থাতেই ছিলো। এবার বাকিগুলোও দখলে আসতে চলেছে শাসকদলের। বিরোধীদলের সাংগঠনিক দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের আশায় নতুন পরিকল্পনা করছে রাজ্যের তৃণমূলশিবির। এবার জেলায় জনে জনে বিরোধীদের ঘাসফুলশিবিরের টিকিট কাটায় লোকসভা নির্বাচনের আগেই জয়ের দিকে এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে তাঁদের।

উল্লেখ্য,এদিন সভাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,জেলা তৃণমূল সভাপতি(গ্রামীণ) পুলক রায়,জেলার বিধায়ক এবং সাংসদরা। সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরে আসা প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী জানালেন যে, মোদীজি বঙ্গে এসে কিছু লাভ করতে পারবেন না রাজ্যবিজেপি শিবিরের। রাজ্যের মানুষ শান্তিতে থাকতে চান। আর তাঁরা জানেন বিজেপি সরকার এখন পুঁজিপতিদের দালাল। আর মোদীজি নীচুতলার মানুষের কথা ভাবেন না। তাই আমজনতা মোদীসরকারের উপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। এর পাশাপাশি দেশের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে জানালেন, শ্রীরাম ধ্বনির মতো পবিত্র ধ্বনিকে বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে কাজে লাগাচ্ছে। এ রাজ্যের মানুষ ধর্ম নিরপেক্ষ তাই তাঁরা মোদীসরকারের নোংরা রাজনীতিকে সাপোর্ট করেন না। পুরমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায়ও। তিনি গর্জে উঠে জানালেন যে, শুধু হাওড়া থেকে ধর্মতলার জনসভায় হাজির হবেন লক্ষাধিক মানুষ। দলে দলে এখন তো বিজেপির তরফ থেকে প্রার্থীরা তৃণমূলে ভীড়ছেন। আগামীদিনেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দিলেন তিনি। তিনি স্বর চড়া করে আরো বললেন যে, বিজেপি সদস্যরা আসলে বুঝতে পেরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে সামনের দিনগুলোতে যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছুক হবেন,রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদনের পরই তাঁদের তৃণমূলে নেওয়া হবে বলেই জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!