এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ফের শাসকদলেগোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ, এবার স্থান রানীগঞ্জ

ফের শাসকদলেগোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ, এবার স্থান রানীগঞ্জ

গোষ্ঠী দ্বন্দে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠলো রাণীগঞ্জ। পরিত্যক্ত খাদানে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রানীগঞ্জের জেমেরি পঞ্চায়েতের বিদায়ি তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানের বাড়িতে এদিন দলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর আক্রমনের ঘটনা ঘটলো। জানা যাচ্ছে এদিন রাতে নিমচা গ্রামে বিদায়ি প্রধান জগন্নাথ বাউরি ও তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে খেপে খেপে ইঁট বৃষ্টি করা হয়। এমনকি ঐ পরিবারের মহিলাদের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ অবধি উঠেছে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুরেশ তপাদার এবং তাঁর দল বলের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গতঃ, সম্প্রতি ব্লক প্রশাসন জেমেরি পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির জমা জলে মাছ চাষের পরিকল্পনা নেয় ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

ব্লকের পক্ষ থেকেই খাদানগুলিতে মাছ ছাড়া হয়েছে। এই খাদানগুলির মধ্যে একটিতে তৃণমূল কংগ্রেস দলের কয়েকজন আগে থেকেই মাছ চাষ করছিলেন। তাঁরা খাদানের মাছ বিক্রি করে একটি মন্দির তৈরির উদ্যোগী হন। কিন্তু এই কাজে তাঁদের বাধা দিচ্ছিলেন জগন্নাথ বাউরির ভাই পরেশ বাউরি। পরেশ বাবুর দাবি তিনি খাদানটি পঞ্চায়েতের কাছে লিজ়ে নিয়েছেন। তিনিই মাছ ছেড়েছেন। তাই অন্য কেউই সেখান থেকে মাছ ধরতে পারবে না। এই নিয়ে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত। এদিনের হামলার ঘটনার বিবরণ দিয়ে জগন্নাথবাবুর ছেলে লাটু বললেন, “তৃণমূল নেতা সুরেশ তপাদারের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন আমার কাকার এবং আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আমার দিদি ও মায়ের পোশাক টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। সারা রাত বাড়িতে ইটবৃষ্টি হয়। পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিমচা ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” আবার অন্যদিকে অপর গোষ্ঠীর নেতা সুরেশবাবুর পেটোয়া জুগনু বাউরি বললেন, “এই প্রধান চিরকাল সন্ত্রাস চালিয়ে এসেছেন গ্রামে। তাঁর পুরো পরিবার অশান্তিপ্রিয়। আমরা বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছি।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!