তৃণমূলী ‘ম্যাজিক’ অব্যাহত – বোর্ড গঠনের ঠিক আগে ‘গোপন ডেরা’ থেকে শাসকদল যোগ বিরোধীদের উত্তরবঙ্গ রাজ্য September 20, 2018 এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের একমাত্র কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতিই ছিল বিজেপির সবেধন নীলমনি। রাজ্যের অনেক জায়গায় জিতেও যখন দলীয় সদস্যদের তৃনমূলে যোগ দেওয়ানো থেকে আটকাতে পারছিল না গেরুয়া ঠিক তখন এই কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি নিজেদের দখলে রাখতে জয়ী 17 জন সদস্যকে নিম্ন অসমের গোঁসাইগাঁওয়ের গোপন ডেরায় রেখে আসে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। সূত্রের খবর, আগামী 25 সেপ্টেম্বর এই কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের কথা রয়েছে। আর তার আগেই এক বিজেপি সদস্য তৃনমূলে যোগ দেওয়ায় কার্যত তৃনমূল এবং বিজেপি দুই দলই টাই অবস্থায় রয়েছে। জানা গেছে, গোপন ডেরায় থাকা বিজেপির 17 জনের মধ্যে এক নম্বর আসন থেকে জয়ী প্রতাপ লামা এক সদস্য নিজের বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার চুনিয়াঝোরায় নিজের বাড়িতে আসেন। আর এরপর দিনই খবর পাওয়া যায় যে এই বিজেপি সদস্য তৃনমূলে যোগ দিয়েছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাসাগর শর্মা বলেন, “অসুস্থ বাবাকে দেখতে আসার সময় রাতের অন্ধকারে আমাদের দলের সদস্য প্রতাপ লামাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।” পাশাপাশি এই বোর্ড গঠন কুমারগ্রাম বিডিও অফিসের বদলে তৃনমূল প্রভাবিত খোঁয়ারডাঙা পঞ্চায়েতের জলেনেশ্বরী হাইস্কুলের মাঠে করায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে তৃনমূলকে বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ এনেছে বিজেপি নেতারা। এইরকম হলে বোর্ড গঠনে তারা অংশ নাও নিতে পারে বলে হুশিয়ারিও দিয়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কিন্তু সত্যিই তো! হঠাৎ বোর্ড গঠনের এই স্থান পরিবর্তন কেন করল প্রশাসন? এই প্রশ্নের উত্তরে এলাকার মহকুমা শাসক কৃষ্নাভ ঘোষ বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারনেই এই স্থান পরিবর্তন।” অন্যদিকে তৃনমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দলবদল করানোর অভিযোগ উঠলে তা অস্বীকার করে জেলা তৃনমূলের সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “বিজেপি সদস্য আমাদের দলে স্বেচ্ছায় যোগদান করেছে। আরও বেশ কয়েকজন যোগাযোগ করছেন।” তবে বোর্ড গঠন পুরোটাই প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে এখন এই কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি কার দখলে যায় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -