এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ছাত্র সংগঠনেও ঘুম ছোটাচ্ছেন মুকুল-শঙ্কু! ঘুরে দাঁড়াতে ঝাড়গ্রামে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনল শাসকদল

ছাত্র সংগঠনেও ঘুম ছোটাচ্ছেন মুকুল-শঙ্কু! ঘুরে দাঁড়াতে ঝাড়গ্রামে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনল শাসকদল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কার্যত হুমকিটা দিয়ে রেখেছিলেন তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা মুকুল রায়। আর তারপর নির্বাচনের ঠিক আগেই তাঁর হাত ধরে, রাজনীতিতে তাঁর প্রিয়তম শিষ্য বলে পরিচিত শঙ্কুদেব পণ্ডা যোগ দিতেই – তৃণমূলের মাদার সংগঠনের পাশাপাশি ছাত্র ও যুব সংগঠনেও বড়সড় ভাঙন ধরানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। পর্দার আড়ালে থেকে উত্তরবঙ্গে ছাত্র ও যুব সংগঠনে নির্বাচনের আগেই বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে দেন শঙ্কুদেব পণ্ডা।

যার ফলশ্রুতি হিসাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার কল থেকে শুরু করে তৃণমূলের জয় পতাকা প্রথম দেখা হয় মুর্শিদাবাদে এসে! আর তারপর লোকসভায় বিজেপি ভালো ফল করতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অনুগামী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। দার্জিলিং থেকে দীঘা, সুন্দরবন থেকে ঝাড়গ্রাম – সবজায়গাতেই রীতিমত ঝড় তুলে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যাঁদের পতাকা আগে কলেজ ক্যাম্পাসে কার্যত দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হাত, সেই এবিভিপির পতাকার দাপটে কলেজে-কলেজে এখন কার্যত কোনঠাসা হয়ে পড়ছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একদা তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত ঝাড়গ্রাম আসনটি এখন গেরুয়া শিবিরের দখলে। ফলে, কিছুদিন আগে শিলদা কলেজে এবিভিপি তাদের সংগঠন নতুন করে তৈরি করেছে। যা কিনা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে টিএমসিপি নেতাদের। এবার তাই নতুন করে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শাসকদলের তরফে। বিগত কয়েক বছর কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়ায় শাসকদলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির তেমন কোন কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যায়নি এতদিন। যা নিয়ে কার্যত মাথাব্যথাও ছিল না কারোর, কিন্তু গেরুয়া অভ্যুত্থানে সব এলোমেলো হয়ে গেছে।

এবার তাই ঝাঁকুনি দিতেই নতুন করে সংগঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও দলে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর তারই ফলশ্রুতি হিসাবে, শনিবার ঝাড়গ্রাম শহরের এক গেস্ট হাউসে বৈঠকে বসেন টিএমসিপির নেতারা। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বীরবাহা সরেন, জেলা টিএমসিপির সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক, কার্যকরী সভাপতি আর্য ঘোষ সহ ঝাড়গ্রাম শহর ও গ্রামীণের নেতা-সমর্থকরা। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঝাড়গ্রাম শহর টিএমসিপির সভাপতির দায়িত্ব পান রাজ কলেজের প্রাক্তন জিএস দেবনাথ দে, কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পান রঞ্জন মাহাতো। পাশাপাশি, ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ সভাপতি করা হয় শেখ নজরুল ও কার্যকরী সভাপতি করা হয় কৌশিক মাহাতোকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!