এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > ‘কড়া’ অধ্যক্ষা কলেজে যোগ দিতেই ‘বহিরাগতদের’ নিয়ে টিএমসিপির তান্ডব, উত্তাল পশ্চিম মেদিনীপুর

‘কড়া’ অধ্যক্ষা কলেজে যোগ দিতেই ‘বহিরাগতদের’ নিয়ে টিএমসিপির তান্ডব, উত্তাল পশ্চিম মেদিনীপুর


ডেবরা কলেজে চত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠল এদিন নতুন অধ্যক্ষার কাজে যোগদানকে কেন্দ্র করে। বহিরাগত বিক্ষোভকারীদের চাপে পড়ে কলেজের বর্তমান প্রশাসক তথা মহাকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে কলেজে যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হল নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া অধ্যক্ষা রূপা দাশগুপ্তকে। এরপর কলেজে চার্জ নিতে গেলে বাঁধার মুখে পড়তে হয় তাকে। হেনস্থার শিকার হন খড়গপুরের মহাকুমা শাসক সুদীপ সরকার সহ দুই অধ্যাপক। পুলিশ লাঠিচার্জে নামলে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে। বিকেলের পর অবস্থা একটু অনুকূল বুঝে কলেজে প্রবেশ করতে সক্ষম হলেও অধ্যক্ষাকে তাঁর নির্দিষ্ট ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরকম টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই চার্জ বুঝে নিতে হয় রূপা দেবীকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাংশ এবং বহিরাগতদের যৌথ উদ্যোগেই এই কাজ হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য,বিক্ষোভে আক্রান্ত অধ্যাপকরা অসুস্থ অবস্থায় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন আপাতত। এই ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় বলেই ব্যাখ্যা করেছেন জেলা তৃণমূক ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী দেবলীনা নন্দী। যে দলই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলেই মন্তব্য করলেন তিনি কিন্তু কেন এমন বিক্ষোভের শিকার হতে হল কলেজ কর্তৃপক্ষকে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের প্রধান করণিকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠলেও তাতে কর্ণপাত করেননি মহাকুমা শাসক। ঘটনার একবছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনটাই অভিযোগে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা। তবে অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ আবার অন্যকথা বলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সুতপা পাল তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর মদত নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনা চলাকালীন তাকে একদমই উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়নি। তবে এ অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ সুতপা দেবী। তিনি জানান,বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের চাপে তিনি বাইরে বেরোতেই পারেননি। কোনো অসৎ অভিসন্ধি তাঁর মোটেই ছিল না। অন্য একজন অধ্যাপক এ প্রসঙ্গে জানান, এরকম একটা ঘটনার আগাম আঁচ পেয়ে তিনি আগেভাগেই মহাকুমা শাসককে জানিয়ে রেখেছিলেন। এ কারণেই মহাকুমাশাসক নিজেই আসে এদিন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষার যোগদান প্রক্রিয়ায় তাঁর থাকতে হতো এমনটাই জানালেন মহাকুমা শাসক। এর সঙ্গে জুড়ে তিনি আরেো জানালেন, কলেজে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়ে তাকে ফিরে আসতে হয়। হেনস্থার শিকার হতে হয়। ওদিকে এ প্রসঙ্গে নতুন অধ্যক্ষা রূপা দেবী দাবী করেন তিনি কলেজে এসে অধ্যক্ষের ঘরে টিআইসি এবং বেশ কিছু ছাত্রকে বসে থাকতে দেখেন। তাকে যে চার্জ নিতে বাধা দেওয়া হবে, এমনটি তিনি আশা করেননি বলেই বক্তব্য তাঁর। তিনি কিন্তু বারবার এদিন বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের বোঝাতে থাকেন কেন ওই অভিযুক্ত করণিকের বিরুদ্ধে মহাকুমা শাসক ব্যবস্থা নেননি বা কী করেছেন এসব তিনি চার্জ নেওয়ার পর খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু তাঁর কোনো কথাই শোনেনি ছাত্রছাত্রীরা। এই নিয়ে এবিভিপির এক সদস্য সায়ন ব্যানার্জী জানান যে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কলেজ এর ভেতরে যে তোলা তোলে তা হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে কেননা রূপা ম্যাডাম একজন কঠোর মহিলা তাই টিএমসি ভয়ে এই কাজ করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!