এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ছাড় নেই টোটো-অটোচালকদেরও! লাইসেন্স থাকলেও লক্ষ-লক্ষ টাকার তোলাবাজি স্থানীয় দাদাদের!

ছাড় নেই টোটো-অটোচালকদেরও! লাইসেন্স থাকলেও লক্ষ-লক্ষ টাকার তোলাবাজি স্থানীয় দাদাদের!


এবারের লোকসভা ভোটে তৃনমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পেছনে নিচুতলার কর্মীদের দুর্নীতি এবং তোলাবাজিকেই দায়ী করেছেন একাংশ। আর যা নিয়ে সেই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই সমস্যা মেটাতে তৎপর হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তবে বৈধ অনুমতি পত্র থাকলেও টোটো এবং অটো চালানোর জন্য স্থানীয় দাদাদের ৫০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে বলে এবার অভিযোগ উঠতে শুরু করল। আর যে ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে চুঁচুড়ার বিভিন্ন এলাকায়।

বস্তুত, লোকসভা ভোটের ফলাফলের পরই নিচুতলার দুর্নীতি রুখতে এবং দলের যাতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় থাকে, তার জন্য নিজের দলীয় অফিসে সমস্ত সাধারণ মানুষকে অভিযোগ জানানোর সুবিধার্থে একটি বক্স তৈরি করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। আর সেইখানেই সকলকে যার যার নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে বলেন তিনি। আর গত সোমবার থেকে সেই অভিযোগ বাক্সে পড়া সমস্ত অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। আর সেখানেই দেখা যায় যে, এই টোটো এবং অটো নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগ পত্রে লেখা রয়েছে, “নতুন অটো এবং টোটো চালানোর জন্য ৫০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে। বৈধ পারমিট থাকা সত্ত্বেও টোটো- অটোর কাছ থেকে মাসিক তোলা নেওয়া হচ্ছে।” এদিকে এই ঘটনা নজরে আসার পরই স্থানীয় নেতা এবং দলীয় কাউন্সিলরদের ধমক দেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক। আর তারপরই বিন্দুমাত্র দেরি না করে শুক্রবার সকালে হ্যান্ডমাইক নিয়ে সমস্ত টোটো, অটো চালক ও মালিকদের সতর্ক করতে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায় তাকে।

সূত্রের খবর, এদিন সকাল আটটার সময় প্রথমে চুঁচুড়া লঞ্চঘাটের কাছে থাকা টোটো, অটো স্ট্যান্ডে যাওয়ার পর থানার সামনে থাকা অটো স্ট্যান্ড, খাদিনা মোড়, তালডাঙ্গা ও চুঁচুড়া স্টেশনের অটোর স্ট্যান্ডে হাজির হন তিনি। আর সেখানেই কাউকে যাতে তোলা না দেওয়া হয় তার জন্য সকল চালকদের কাছে আবেদন জানান তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “গরীব খেটে খাওয়া মানুষরা সংসার চালানোর জন্য অটো এবং টোটো চালান। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কেউ যদি তোলা আদায় করে, তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না।”

তবে টোটো চালকরা যাতে যাত্রীদের সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করেন, এদিন তারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এদিকে অসিত মজুমদারের এহেন উদ্যোগে কিছুটা হলেও খুশি এলাকার টোটো এবং অটো চালকরা। কারণ যেভাবে তাঁদের লাগাতার তোলাবাজির শিকার হতে হচ্ছিল, তাতে এলাকার বিধায়ককে তারা পাশে পাওয়ায় কিছুটা হলেও সাহস পাচ্ছেন। কিন্তু বিধায়ক তাঁদের পাশে থাকলেও বাস্তবে টোটো এবং অটো চালাতে গিয়ে তাদের এই তোলাবাজদের মুখে পড়তে হয় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!