এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোটের মুখে জল্পনা বাড়িয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত জলপাইগুড়ি বিজেপি, মানতে নারাজ নেতৃত্ব

ভোটের মুখে জল্পনা বাড়িয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত জলপাইগুড়ি বিজেপি, মানতে নারাজ নেতৃত্ব


বছর ঘুরতেই লোকসভা ভোট। হাতে গোনা কয়েকমাসই বাকি। রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দল যেখানে গোষ্ঠীকোন্দল মোকাবিলায় ব্যস্ত,সেখানে বিজেপি শিবিরে নতুন করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জট পাকালো। বিজেপি জেলা সভাপতিকে সরানোর দাবীতে দলীয় একাংশের মধ্যে মন কষাকষির পাশাপাশি এসটি-এসসি সেলের জেলা সভাপতি পরিবর্তন করা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলীয় অন্দরে।

অনেকে আবার গোপনে শাসকদলের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখছেন,এমনটাই জল্পনা। এরকম পরিস্থিতি লোকসভা ভোটের আগে অন্দরের ক্ষত সারিয়ে বিজেপি আবার সঠিক ফর্মে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলীয় কর্মীদের মধ্যেই।

বিজেপি সূত্রের খবর, প্রায় মাস ছয়েক আগে জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরানোর দাবীতে সোচ্চার হয়েছিলো দলের একাংশই। এ ব্যাপারে দলের একটি শাখা সংগঠনের তরফ থেকে দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে চিঠিও পাঠানো হয় গোপনে।

যুক্তিতে জানান,লোকসভা ভোটের আগে দলীয় সংগঠনকে আরো পোক্ত করতে গেলে জেলা সভাপতিকে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে সরানো দরকার। পরে স্যোশাল মিডিয়ায় সূত্রে সেই গোপন চিঠির পর্দা ফাঁস হয়ে গেলে অস্বস্তিতে পড়েন জেলা নেতৃত্ব।

এরপর, দলের রাজ্য নেতৃত্ব জেলা সভাপতি বদল তো দূরের কথা সেই দাবিতে সরব কয়েকজন নেতাকে শো-কজও করেন। এই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি দলের তফসিলি মোর্চার জেলা সভাপতি হরি বিশ্বাসকে দায়িত্ব থেকে হঠিয়ে দেওয়া হয়। একথা খোদ দলের জেলা সভাপতিই সংবাদমাধ্যমকে জানান।

এখানে উল্লেখ্য,এই হরি বিশ্বাসই দলের জেলা সভাপতিকে সরানোর দাবীতে সরব ছিলেন। তিনিই দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে গোপনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসার পরই কেন হরিবাবুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল?

তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দলীয় কর্মীদের মধ্যে। দলীয় মতানৈক্য এখন এমন পর্যায়ে পৌছেচে যে অনেক জেলা নেতৃত্বইও বিজেপির কোনো কর্মসূচীতে যাচ্ছেন না। উল্টে যোগাযোগ রাখছেন শাসকশিবিরের সঙ্গে। এরকম পরিস্থিতি লোকসভা ভোটের আগে কী হবে দলের ভবিষ্যত তা ভেবেই হতাশ হয়ে পড়ছে নীচুতলার কর্মীদের একাংশ।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পরিসংখ্যানের হিসাবে উঠে এসেছে,গত কয়েক বছরে বিজেপি ভালোই শক্তিশালী হয়েছে জলপাইগুড়িতে। এবং তা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে দলীয় ফাটল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাতেই লোকসভা ভোটের আগে সিঁদুরে মেঘ দেখছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বরা।

এখন সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার বদলে তাঁরা নিজেদেরই কাঠগড়ায় তুলতে ব্যস্ত। শুধু এটুকু করেই ক্ষান্ত নন তাঁরা,গোপনে শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তাঁরা। আর বিজেপি রুখতে এই সুযোগটা ভরপুর কাজে লাগাবে তৃণমূল,এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞমহল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে দলের জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী দলের অাভ্যন্তরীন বিরোধের অভিযোগ অস্বীকার করলেন। শুধু তাই নয়,লোকসভা ভোটে দল যে ভালো ফল করবে সে ব্যাপারেও আশাবাদী তিনি,এমনটাই জানালেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!