জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেস শিবিরের – অবশেষে ঘোষিত হল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নাম জাতীয় December 12, 2018 গতকাল সারাদিন ধরেই মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে অদ্ভুত উত্থান-পতন লক্ষ্য করা গেছে। আজ ভোর রাতে গণনা শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত স্পষ্ট হচ্ছিল না – কংগ্রেস না বিজেপি, শেষপর্যন্ত বিজয়লক্ষী কার কপালে জয়ের তিলক পড়াবেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১১৬ – ছুঁতে পারে নি কোনো দলই। আর তারপরেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। কেননা কংগ্রেস সামান্য এগিয়ে থাকলেও, গেরুয়া শিবিরের নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। তখন মনে করা হচ্ছিল – তাহলে কি শেষ পর্যন্ত সরকার গড়ার কোনো ফর্মুলা বের করে ফেলতে চলেছেন শিবরাজ সিং চৌহ্বানরা। কিন্তু দীর্ঘ বৈঠকের পর, বিজেপি স্পষ্ট করে দেয় সরকার গড়ার প্রক্রিয়ায় নয়, বরং তাঁরা বিরোধী দলের আসনে থাকতেই বেশি পছন্দ করবেন। আর এরপরেই শুরু হয় নতুন জল্পনা – কেননা, এরপরে কংগ্রেস সরকার গড়ছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীত্ত্ব পাবেন কে? তাই নিয়ে শুরু হয় তীব্র জল্পনা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কেননা, মধ্যপ্রদেশে এবার কংগ্রেস কমলনাথের নেতৃত্ত্বে নির্বাচন লড়ে। অন্যদিকে, তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াই ছিলেন কার্যত এই নির্বাচনের প্রচারের প্রধান মুখ। রাহুল গান্ধীর পরে তাঁর প্রচারই সব থেকে বেশি সাড়া ফেলেছিল নির্বাচনের আগে। আর তাই, লক্ষ টাকার প্রশ্ন – রাহুল গান্ধী কাকে বেছে নেবেন। অভিজ্ঞতা না তারুণ্য – শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে কে? সূত্রের খবর, দীর্ঘ বৈঠকের পর তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নয় – রাহুল গান্ধী সিলমোহর দিলেন কমলনাথের নামেই। এর কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন – প্রথমত, বিরোধী দল বিজেপি কিন্তু আসনসংখ্যার বিচারে খুব পিছিয়ে নেই। এই অবস্থায় বিরোধী দলনেতা হবেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান স্বয়ং। আর তাই, সামান্য ভুল-ত্রুটিতেই তিনি রীতিমত চেপে ধরতে পারেন সরকারকে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের আরেক দাপুটে নেতা দিগ্বিজয় সিংহের গোষ্ঠীর সমর্থনও আছে কমলনাথের দিকে। তাছাড়া, রাহুল গান্ধী আগেও বলেছিলেন – জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হলেন দলের ভবিষ্যৎ। বিধানসভা নির্বাচনে যে অক্সিজেন পাওয়া গেছে তাকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে আটকাতে গেলে যে পরিমান দৌড়-ঝাঁপ করতে হবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হবেন তার জন্য আদর্শ লোক। আর তাই, সব মিলিয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে আপাতত মুখ্যমন্ত্রীত্ত্বের ব্যাটন গেল অভিজ্ঞতার কাছেই। তারুণ্যকে দেয় হল বৃহত্তর দায়িত্ত্ব। আপনার মতামত জানান -