এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > পুজোর আনন্দে শামিল নন ওঁরা – বোনাসের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল বর্ধমান

পুজোর আনন্দে শামিল নন ওঁরা – বোনাসের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল বর্ধমান

পুজোর আনন্দে মেতে আছে গোটা রাজ্য অথচ কিছু মানুষ এখনো এই উচ্ছ্বাস থেকে শত যোজন দূরে। উৎসবের মরশুমেও প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা, ভুড়িভোজ, দেদার ফূর্তি কোনো কিছু নিয়েই বিন্দু মাত্র উৎসাহ নেই তাঁদের। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর চিন্তার একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুজোর বোনাস। সাধারণত পুজোর সময় সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার সব কর্মচারীদের বোনাস দেওয়ার একটা নিয়ম বহুদিন ধরেই চালু রয়েছে।

কিন্তু, এবছর এখনও এই প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত অন্ডালের কোলিয়ারি এবং দুর্গাপুরের একটি কারখানার শ্রমিকরা – ফলে, রীতিমতো হতাশ তাঁরা। তবে হতাশাকে আশ্রয় করে অধিকার ছাড়েননি তাঁরা, প্রতিবাদে সরব কর্মচারীরা। এদিন অণ্ডাল থানার বাঁকোলা এরিয়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ঠিকা শ্রমিকরা পুজোর বোনাসের দাবীতে কাজই বন্ধ করে দেন, রীতিমতো বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই বিক্ষোভে শামিল হন প্রায় ৩০০ জন ঠিকা শ্রমিক বলে সূত্রের খবর।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাঁদের অভিযোগ, পুজোর সময় বোনাস না দিয়ে কাজ করাচ্ছেন মালিক কর্তৃপক্ষ। সেইজন্য নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে বিক্ষোভের পথ নেন তাঁরা। বিক্ষোভকারী এক ঠিকা শ্রমিক মতিউর রহমান জানান, আইন অনু্যায়ী ঠিকা শ্রমিকদের ৮.৩৩% বোনাস দেওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদাররা বোনাস দেওয়া নিয়ে গড়মসি করছেন। তাই বোনাসের দাবীতে বিক্ষোভ জানানো হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। উত্তাল অবস্থা দেখে চাপে পড়ে যান ঠিকাদাররা।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঠিকাদরার আশ্বাস দেন যে পুজোর বোনাস দেওয়ার ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরই দুপুর ২ টো নাগাদ বিক্ষোভ তুলে নেনে কর্মীরা। অন্যদিকে, একই দাবীতে বিক্ষোভ দেখান দুর্গাপুরের রাতুলিয়া-অঙ্গদপুর শিল্প তালুকের একটি ফেরো অ্যালয় কারখানার শ্রমিকরা। মূল বেতনের উপর ৮.৩৩% হারে বোনাস দেওয়াতে ঘোর আপত্তি জানায় শ্রমিকরা। তাঁদের দাবী, মূল বেতনের উপর ১৫% বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। ওদিকে এই দাবীকে মান্যতা দিলেন না কারখানা কর্তৃপক্ষ।

তাঁদের বক্তব্য, ৮.৩৩% হারে বোনাস দেওয়ার কথা শ্রমিকদের আগেই জানানো হয়েছিল। তবে শ্রমিকদের সমর্থনেই আওয়াজ তুললেন এলাকার বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমানের আইএনটিটিইউসির সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। নিজের বক্তব্যে জানালেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন বিরোধী কাজ করছে। শ্রমিকরা নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তাঁদের দাবীকে অবিলম্বে স্বীকার করে নেওয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে আবেদন করলেন তিনি। ফলে, সবমিলিয়ে পুজোর মরশুমেও শ্রমিক ক্ষোভে উত্তাল শিল্পনগরী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!