ইন্ডির পিন্ডি চটকে গেল বলে! বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন দুই হেভিওয়েট! চমকে উঠছে জনতা!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপিকে আটকানোর জন্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সকলে মিলে ইন্ডি জোট তৈরি করেছিল। যদিও বা এখন সেই জোটের ভবিষ্যৎ কি, তারা আদৌ জোটে আছে কিনা, সেটাই একটা লাখ টাকার প্রশ্ন। যেখানে তাদের নিজেদের মধ্যেই বনিবনা নেই বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যে কংগ্রেস বর্তমানে দেশের বিরোধী আসনে রয়েছে, সেই কংগ্রেস কি বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে? তাদের জন্য আসতে চলেছে বিরাট রাজনৈতিক ঝটকা? ইতিমধ্যেই যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা অত্যন্ত শোরগোল ফেলে দিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। কংগ্রেসের দুই হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা, যারা বড় মুখ বলে পরিচিত, তারা খুব দ্রুত বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু তারা কারা?

জানা গিয়েছে, যে দুজন হেভিওয়েট দলবদল করতে চলেছেন, তার মধ্যে একজন শশী থারুর এবং অপরজন সলমান খুরশিদ। কিন্তু এরা তো কংগ্রেসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ! এরা জীবনে কংগ্রেস ত্যাগ করতে পারেন, সেটা তো কেউ ভাবতেও পারেননি। ফলে সত্যিই কি তারা দলবদল করছেন, নাকি এটা শুধুমাত্র জল্পনায় ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের। এমনকি আসন্ন কেরল বিধানসভা ভোটের আগেই শশী থারুরকে বিজেপিতে নিয়ে তাকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ প্রজেক্ট করে সেখানে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। একইভাবে সালমান খুরশিদ, যিনি অত্যন্ত কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা বলে পরিচিত, তিনিও বিজেপির সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। যেখানে তিনি নিজে হয় রাজ্যসভার সাংসদ তা না হলে একটি কমিশনের মাথায় বসার জন্য দাবি রেখেছেন বিজেপির কাছে।

তবে শশী থারুর বা সলমন খুরশিদ, তারা নিজেদের রাজনৈতিক জীবন সুরক্ষিত রাখার জন্য বিজেপির কাছে একাধিক শর্ত রেখেছেন ঠিকই। কিন্তু পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকেও তাদেরকে জানানো হয়েছে যে, কংগ্রেস বা গান্ধী পরিবারকে লাগাতার আক্রমণ করতে হবে। ইতিমধ্যেই শশী থারুর কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন। গেরুয়া শিবিরের একটা অংশ বলছে, যত সময় যাবে, ততই আরও বেশি করে গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করতে শুরু করবেন এই সমস্ত নেতারা। আর যদি দুই পক্ষ একে অপরের শর্তে রাজি হয়ে যায়, তাহলে খুব দ্রুত সর্বভারতীয় স্তরে বিরাট একটা ধাক্কা খেতে চলেছে কংগ্রেস তথা ইন্ডি জোট।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গতিবিধি যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে দলবদল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। যে কোনো মুহূর্তে কংগ্রেসকে ধাক্কা দিয়ে এই দুই মুখ বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন। যতক্ষণ এই দল-বদল হয়নি, ততক্ষণ কংগ্রেস স্বস্তিতে। কিন্তু এই দলবদল হয়ে গেলে এযাবৎ কালের মধ্যে সবথেকে বড় রাজনৈতিক ধাক্কা খেতে হবে গান্ধী পরিবারকে। পাশাপাশি কংগ্রেসের নেতৃত্বে যে ইন্ডি জোট বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে উদ্যোগী হয়েছিল, সেখানে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও তখন কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে। আর তার ফলে ভবিষ্যতে দেশে বিজেপি বিরোধী শক্তি কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

error

আপনি যদি রাষ্ট্রবাদী হন ও সঠিক খবরের সন্ধানে থাকেন, তাহলে আমাদের খবর আরও বেশি করে শেয়ার করুন